ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৮ ১৯:৩৮

ইবিএলের নিরাপত্তাকর্মী খুনের নেপথ্যে ‘পূর্ব শত্রুতা’

অনলাইন ডেস্ক
ইবিএলের নিরাপত্তাকর্মী খুনের নেপথ্যে ‘পূর্ব শত্রুতা’

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শেখ তৌহিদুল ইসলাম নুরুন্নবীর হত্যাকারী রাসেল শেখ নয়নকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তৌহিদুলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব -১।

এর আগে সোমবার সকালে ক্যান্টনমেন্টের পোস্ট অফিসের পাশের ইবিএল বুথে শেখ তৌহিদুল ইসলাম নুরুন্নবীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত নুরুন্নবীর বাবা শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে হত্যাকারী ‘অজ্ঞাত’উল্লেখ করা হয়। রাসেলকে গ্রেফতারের পর বুধবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব -১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে বাগেরহাটের একটি নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিহত তৌহিদুলের গায়ে অসাবধানে রাসেলের সাইকেল লাগে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে নৌকাবাইচ থেকে ফেরার পথে রাসেলকে মারধর করেন তৌহিদুল।

এ বছরের ১ মে থেকে 'গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস' নামে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অধীনে সেনানিবাসের ইবিএল বুথে নিরাপত্তা কর্মীর কাজ শুরু করেন তৌহিদুল। রাসেল আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিসে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। ওই দিনের ঘটনার বিবরণে মেজর মনজুর বলেন, ২০ মে রাতে তৌহিদুল ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করছিলেন। তারপর রাতে ইবিএলের ওই বুথে গিয়ে তাহিদুলকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। গত বছরের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর হাতাহাতি। হাতাহাতির একপর্যায়ে ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে রাসেল ছুরি দিয়ে তৌহিদুলকে জখম করে। তৌহিদুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পাশের ড্রেনে ফেলে দিয়ে খুলনা পালিয়ে যায়।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রাসেলের ছুরিটি এটিএম বুথের ভেতরেই ছিল উল্লেখ করে মেজর মনজুর বলেন, এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মীরা যেহেতু বুথেই থাকত, তাই বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ছুরিটি সম্ভবত সেখানেই ছিল। রাসেলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

উপরে