ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮ ১৪:১০

দেশেই হেলিকপ্টার, বিমান তৈরির পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশেই হেলিকপ্টার, বিমান তৈরির পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর

যুদ্ধ জাহাজের মতো এখন দেশেই আকাশ পথে চলাচলের জন্য উড়োযান হেলিকপ্টার ও বিমান তৈরি করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর জায়গা হিসেবে তিনি পছন্দ করেছেন লালমনিরহাট জেলাকে।

 

এই জেলায় অলস পড়ে থাকা এয়ার স্ট্রিপে একটি অ্যারোনেটিকাল সেন্টার তৈরির জন্য বিমানবাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাহিনীর প্রধানকে তিনি বলেছেন একটি পরিকল্পনা করতে।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো এখানে মেরামত ও ওভারহোলিংয়ের কাজ করা হবে এবং পরে সেখানে এসব আকাশযান তৈরির উদ্যোগও নেয়া হবে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তার সরকারের নেয়া নানা প্রকল্প এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে জেলা প্রশাসকদের নানা পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেন। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে অ্যারেনেটিকাল সেন্টার তৈরির উদ্যোগের বিষয়টি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লালমনিরহাটে একটা এয়ার স্ট্রিপ আছে। বিশাল জায়গা পড়ে আছে। আমি আমাদের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা একটি অ্যারোনেটিকাল সেন্টার ঢাকায় করেছি। আর সেখানে আমরা করতে চাই।’

‘যেখানে আমরা আমাদের প্লেন বা আমাদের হেলিকপ্টার ওভারহোলিং করতে হয়, সেখানে আমরা এই ধরনের একটি অ্যারারোনেটিক্যাল সেন্টার গড়ে তুলব, যেন ভবিষ্যতে সেখানে আমরা নিজেরাই হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারব, প্লেনও তৈরি করতে পারব।’

‘আমরা কেন পারব না? আমরা এখন নিজেরা যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করছি। খুলনা শিপইয়ার্ডে। যেটা এক সময় একেবারে বসে গিয়েছিল, শেষ হয়ে গিয়েছিল।’

‘বিমানবাহিনীর প্রধানকে বলেছি একটা প্ল্যান করতে, সেটা কেবল বাংলাদেশের নয়, আশপাশের দেশের বিমানবাহিনীর বিমান বা হেলিকপ্টার আমার ওভারহোলিং করব, মেরামত করব।’

গত শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া সংবর্ধনার মতো আজও প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত ও আধুনিক করতে বুলেট ট্রেন চালুর কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেন এক ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারি, ঢাকা থেকে দিনাজপুর যেন দুই ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারি, ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত, অর্থাৎ পায়রা বন্দর পর্যন্ত যেন রেলে পৌঁছাতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী সিলেটের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। পরে একজন দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সে কথাও উল্লেখ করেন। আর রসিকতা করে বলেন, ‘সিলেটের কথা ভুলি নাই মনে আছে। সিলেটের কথা ভুললে অর্থমন্ত্রী তো পয়সাই দেবেন না।’

‘এক ঘণ্টায়, ৪০ মিনিটে বা ৫০ মিনিটে পৌঁছে যাবে, সেভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা উন্নত করতে চাই।’

‘সিলেট এয়ারপোর্টটাকে উন্নত করতে চাই। সৈয়দপুরটাকে আমরা আঞ্চলিক এয়ারপোর্ট হিসেব উন্নত করব।’

পটুয়াখালীর পায়রায় নতুন সমুদ্র বন্দর করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোনাদিয়া ও মহেশখালীতে যেমন গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে উঠবে, তেমনি আমাদের পায়রাবন্দরটাকেও গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’

বেশ কিছুদিন ধরেই নানা কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী গ্রামে শহরের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলে আসছেন। জেলা প্রশাসকদেরকেও সেই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

আরও আসছে...

উপরে