সাফল্য ধরে রাখায় দুর্নীতিই চ্যালেঞ্জ: দুদক চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সূচকে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে দুর্নীতিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) ইনডিপেন্ডেন্ট ইভালুয়েটর পিরে রবার্টের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের কার্যপদ্ধতি যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলেই প্রাতিষ্ঠানিক মান উন্নয়ন সম্ভব এবং কার্যপদ্ধতির উৎকর্ষ সাধিত হবে।
আর এ জন্য নিজ নিজ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা মুক্তভাবে প্রকাশ করতে কমিশনের ছয় অনুবিভাগের মহাপরিচালকদের তাগিদ দেন দুদক প্রধান। তিনি বলেন, ‘কারণ সঠিক তথ্য ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানকে যথার্থ মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।’
দুর্নীতি দমনে অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনের মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প দেখছেন না দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কমিশনের কর্মকর্তাদের অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রসিকিউশনের ওপর ইউএনওডিসিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মানিলন্ডারিং ও সাইবার ক্রাইমসহ বিশেষায়িত এসব ক্ষেত্রে ইউএনওডিসির সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
ইউএনওডিসি সাধারণত দুর্নীতিসংক্রান্ত অপরাধ দমনে প্রশিক্ষণ ও আইনি সংস্কারে সহযোগিতা করে থাকে বলে জানান রবার্ট। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলাম, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মোহাম্মদ জয়নুল বারী, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।
