ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০১৮ ১৭:২২

তিন সিটির প্রার্থীদের মধ্যে ৫২ ভাগ ব্যবসায়ী

ভোরের বাংলা ডেস্ক

তিন সিটির প্রার্থীদের মধ্যে ৫২ ভাগ ব্যবসায়ী

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের হার ৫২.৩৭ ভাগ। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর—এই তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫৪৮ জনের মধ্যে ব্যবসায়ী ২৮৭ জন।
বুধবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন ব্যবসায়ী, দুইজন আইনজীবী। বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ পেশায় আইনজীবী। ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী ৫৮.১২ ভাগ। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২১৭ জন পেশায় ব্যবসায়ী।
বরিশালে সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন ব্যবসায়ী, একজন আইনজীবী, একজন চিকিৎসক ও একজন চাকরিজীবী। আওয়ামী প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ও জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ আইনজীবী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী পেশায় চিকিৎসক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বশীর আহমেদ ঝুনু পেশার ঘর পূরণ করেননি।
৩০টি ওয়ার্ডের ৯৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৭৩.৪০ ভাগ ব্যবসায়ী। তিনটি পদে ১৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৯ জন ব্যবসায়ী।
সিলেটে সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে চারজন ব্যবসায়ী, একজন আইনজীবী, একজন চাকরিজীবী ও একজন নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আওয়ামী লীগের বদর উদ্দীন কামরান, বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী, স্বতন্ত্র বদরুজ্জামান সেলিম ও এহসানুল হক তাহের পেশায় ব্যবসায়ী। স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আইনজীবী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান চাকরিজীবী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী আবু জাফর পেশায় রাজনৈতিক কর্মী। মোট ২৭টি ওয়ার্ডে ১২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৭৪.০১ ভাগ ব্যবসায়ী। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০৩ জন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
তিন সিটি করপোরেশনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ৫২.৩৭ ভাগ, যা সংখ্যায় ২৮৭ জন। নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার সবচেয়ে বেশি বরিশালে (৫৮.৮০ভাগ), আর সবচেয়ে কম রাজশাহীতে (৪৮.৩৮ ভাগ)।
প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় যেসব তথ্য জমা দিয়েছেন, তা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুজনের সমন্বয়ক দীলিপ কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

উপরে