সারাদেশে ভবন নির্মাণে তদারক কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সিটি করপোরেশনগুলোর মতো সারাদেশে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা প্রশাসনে একজন করে তদারক কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের শেষ দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেছেন বলে সম্মেলন সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবনা দিতে গিয়ে কুষ্টিয়ার ডিসি বলেন, রাজউক ও সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি বা ভবন নির্মাণ করতে অনুমতি ও অনেক নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু সারাদেশে গ্রামে-গঞ্জে অনেক ভবন নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু সেসব ভবন নির্মাণ তদারকিতে কেউ নেই। যে যার মতো ভবন নির্মাণ করছে। কোনও ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে এসবের দায় সরকারি কর্তৃপক্ষকেই নিতে হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) থেকে সচিবালয়ে শুরু হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন। শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) বিকালে। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩৪৭টি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন সারাদেশের জেলা প্রশাসকরা। সেসব প্রস্তাবনা ছাড়াও ডিসিরা আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ডিসি সম্মেলনে।
সারাদেশে ভবন নির্মাণের নীতিমালা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভবন নির্মাণে সরকারি বিধিমালা রয়েছে। রাজউকের আওতাধীন এলাকাসহ পুরো দেশেই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করেই বাড়ি বা ভবন নির্মাণ করতে হয়। যদি কেউ এই বিধিমালা লঙ্ঘন করে, প্রথমে তাকে আমরা নোটিশ করি। এরপরও যদি সংশোধন না করে, তখন ওই বাড়ি ভেঙে দেওয়ারও বিধান রয়েছে। আমরা অনেক বাড়ি ভেঙেও দিয়েছি। মোট কথা যেকোনও বাড়ির মালিককে এই বিধিমালা মেনেই বাড়ি নির্মাণ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে ফেনী পৌরসভার চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একসময় পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে অনুমতি দিলেই ভবন নির্মাণ করা যেতো। কিন্তু রানা প্লাজা ধসের কারণে এখন নিয়ম বদলেছে। গত তিন চার মাস আগে তারা একটি চিঠি পেয়েছেন। জেলা শহর কিংবা পৌরসভা এলাকায় সাততলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভা ছাড়াও গণপূর্তসহ ১১টি সরকারি বিভাগের অনুমতি লাগবে। আর সাততলার ওপরে ভবন নির্মাণ করতে হলে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসেরও অনুমোদন নিতে হবে। আর পৌরসভা এলাকায় কোনও ভবন নির্মাণ শুরুর সময় পৌর কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। তখন পৌর কর্তৃপক্ষ গিয়ে সেটা তদারকি করে থাকে।’
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল হক রেজু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে ভবন নির্মাণ করতে কেউ তাদের অনুমতি নেয় না। আর অনুমতি নেওয়ার কোনও বিধান আছে কিনা, সেই ব্যাপারেও স্পষ্ট জানি না।’
