‘কৃষিপ্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানসম্মত ধারণার আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনা করে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের পানি, মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, শস্য নিবিড়করণ এবং যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
রোববার রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডাল, তৈলবীজ, ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসলের আবাদ বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এবং অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, এসিআইএআর ও কেজিএফ-এর যৌথ গবেষণা কার্যক্রমে দেশের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়া খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাকে অধিকতর সুসংহত করতে গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। খরা এবং লবণ সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে আরও গুরুত্ব দেয়া দরকার।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটিয়ে কৃষির উৎপাদনশীলতায় ইতিবাচক টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার মিস জুলিয়া নিবলেট এসিআইএআর-এর কর্মকৌশল ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, এসিআইএআর ১৯৯০ সাল থেকে কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। ২০১৫ সাল থেকে সফলভাবে দক্ষিণাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শস্য নিবিড়করণ, উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণশীল কৃষি এবং লবণাক্ত সহিষ্ণু ডাল ভুট্টার জাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কৃষি গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে তিনটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ।
বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিআইএআর এর প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক এন্ড্রু ক্যাম্পবেল। স্বাগত বক্তব্য দেন কেজিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর।
