শাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল র্যাব
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় করা প্রতারণা মামলার তদন্তভার র্যাবকে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন র্যাব এর গোয়েন্দা শাখার প্রধান সারওয়ার বিন কাশেম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। পরে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মামলাটি ডিবি থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তরের। এখন শাহেদের মামলার তদন্ত করবে র্যাব।’
এর আগে, রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর ভুয়া করোনা পরীক্ষাসহ নানা অনিয়ম পাওয়ায় প্রতারণার মামলা করে র্যাব। পরে মামলার তদন্তভার দেয়া হয় ডিবিকে। শাহেদকে গ্রেপ্তারের পর গত শুক্রবার র্যাব এর মহাপরিচালক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন প্রতারণার মামলার তদন্ত তারা নিজেরাই করতে চান। শাহেদের মামলার তদন্তভার পেতে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলো র্যাব।
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব।
মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন শাহেদ। ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে সেখানে থেকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। এরপরে ১৬ জুলাই শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
