ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২০ ১৭:১১

শ্রীমঙ্গলে রকমারি সবজি চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীমঙ্গলে রকমারি সবজি চাষে সাফল্য


মাঠের এক কোণে সারি সারি বেগুন গাছ। অন্য কোণে করলা। আবার এক কোণে মরিচ তো অন্য কোণে টমেটো। আর মাঝখানে লাউয়ের ঝাড়। রয়েছে পেঁপে, চাল কুমড়া। 
দৃষ্টি নন্দন রকমারি সবজি বাগানটি চোখে পরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে। এই সবচি বাগান করে সফলতা পেয়েছেন ওই চা বাগানের গোপাল সিং’র ছেলে সুজন সিং। স্কুলে প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে বাগানে শ্রমিকের চাকরি নেন সুজন। দিনে চার ঘণ্টা চাকরি করার পর তার হাতে রয়ে যায় আরো ছয় ঘণ্টা। এই বেকার সময়টুকু কাজে লাগাতে তিনি ২০০০ সালে বাগানের ৭ নং সেকশনে এক একর জমিকে সবজি চাষ শুরু করে। 
সুজন সিং জানান, প্রথম বছরে লাভের মুখ না দেখলেও পরের বছর থেকে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার বাগানের পরিধী চার একর। প্রতি মাসে এই বাগান থেকে সবজি বিক্রি করে আয় হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা। বছর শেষে খরচবাদে লাভের পরিমান দাড়ায় একলক্ষ টাকা। শুধু গত রমজান মাসেই বেগুন বিক্রি করে পয়ত্রিশ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এখন বাগানে রয়েছে জালি কুমড়া, করলা ও মরিচ। নতুন করে রোপন করা হয়েছে পেঁপে ও টমেটোর চারা। 
স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক তাকে পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া প্রতি মৌসুমে তার সবজি বাগানে প্রদর্শনী প্লটও দেয়া হয়। তাকে বিভিন্ন মৌসুমে বীজ দিয়ে সহায়তা করছে লাল তীর বীজ কোম্পানী। সুজনের এই সবজি বাগান দেখে চা বাগানের অনেক বেকার যুবকরা এখন বাগানের পতিত জমিতে সবজি চাষ করছেন। 
লাল তীর সীড কোম্পানীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘সুজন একজন মডেল চাষি। তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যর সবজি চাষ করেন। তিনি এবার অন্যান্য সজবির সাথে এই প্রথম বার আমাদের কোম্পানীর হাইব্রিড করলা ময়না জাত চাষ করেন। তার মতো অন্য কৃষকরাও এই মিশ্র সবজি চষে এগিয়ে আসলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।’  
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, ‘সুজন সিং একজন বাস্থবধর্মী ও উদ্দোগী কৃষক। কৃষিতে তার আগ্রহ দেখে আমরা কৃষি অফিস থেকে তাকে বিভিন্ন ট্রেনিং করিয়েছি। সে তার জমিতে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি গুলো কাজে লাগিয়ে অনেক লাভবান হয়েছে।’ 

উপরে