ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০২০ ১৮:৩৪

দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, প্রাণে বাঁচলেন ২ হাজার যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, প্রাণে বাঁচলেন ২ হাজার যাত্রী


ঢাকা থেকে বরিশালে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে এমভি সুন্দরবন-১০ ও এমভি মানামী নামে দু’টি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় লঞ্চের পেছনের অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও অল্পের জন্য দুই লঞ্চের প্রায় ২ হাজার যাত্রী রক্ষা পেয়েছেন।
বুধবার রাত সোয়া ২টার দিকে মেঘনা নদীর ইলিশা চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত দুটি লঞ্চেরই যাত্রা স্থগিত করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
জানা গেছে, এমভি মানামী লঞ্চটি সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে দ্রুত গতিতে ওভারটেক করতে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পানি কম থাকায় চরে আটকে যায় এমভি মানামী। চর থেকে নামানোর জন্য ফুল স্পিডে লঞ্চটিকে পেছনের দিকে সরানো হয়। তখন সুন্দরবন-১০ ও মানামীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর লঞ্চ দুটি চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল নদী বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন প্রায় দুই হাজার যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার (চালক) মজিবর রহমান জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে তারা বরিশাল যাচ্ছিলেন। ওই চ্যানেলের মধ্যে এমভি মানামী লঞ্চটি সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে ওভারটেক করে চরে আটকে যায়। চর থেকে নামানোর জন্য ফুলস্পিডে লঞ্চটি পেছনের দিকে ধাবিত হয়। এসময় সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ওপর এমভি মানামী আছড়ে পড়ে। এতে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবরের কিছু অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অপরদিকে মানামী লঞ্চের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ভিএইচএফ-এ পেছনে যাওয়ার খবরটি সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে অবহিত করা হয়েছিলে। কিন্তু গুরুত্ব না দেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমুল হুদা মিঠু সরকার জানান, এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তদন্ত কমিটিটি উভয় লঞ্চ পরিদর্শন করেছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি উভয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত মেরামত করে সার্ভে কর্তৃপক্ষকে দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে।

উপরে