আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২০ ১৯:২০
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে এ্যাডঃ আনিছুর রহমানকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা
হাফিজুর রহমান
ঢাকা ১৮ আসনে মরহুমা এ্যাডঃ সাহারা খাতুন নবম,দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। পরে তাকে স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তিনি অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর টানা চতুর্থবার এর প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার দলের প্রতি ভালবাসা, ত্যাগ এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে কাজ করার জন্য তিনি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন। এ্যাডঃ সাহারা খাতুন গত ০৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১১:২৩ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করায় আসনটি শুন্য হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণিএকটি আসন। এটি ঢাকা শহরে অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯১ নং আসন। রাজধানীর উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, উত্তরখান ও দক্ষিণখান থানার পুরো এলাকা এবং ভাটারা থানার কিছু অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসন।দলীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগতভাবে এ্যাডঃ সাহারা খাতুন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই কাছের ছিলেন। ফলে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ্যাডঃ সাহারা খাতুনকেই মনোনয়ন দেন এবং তিনি বিপুল ভোটে বিজয়লাভ করেন। এ্যাডঃ সাহারা খাতুনের সুযোগ্য আপন ভাতিজা এ্যাডঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমার ফুপি সাহারা খাতুন ১লা মার্চ ১৯৪৩ সালে ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতা হলেন যথাক্রমে, আব্দুল আজিজ ও তুরজান নেসা। তিনি বি.এ এবং এল.এল. বি ডিগ্রী আর্জন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের টানা চারবার প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, ফুপি দেশের ও জনগনেের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন, তিনি আামাকে ছোট বেলা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার আদর্শে বড় করেছেন। আমার জীবনের সব কিছু ফুপুর দেখানো পথে হয়েছে। তিনি সব সময় আমাকে আগলে রখতেন। আমি আমার ফুপুর মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর সাথে ছিলাম। জানা যায়, ঢাকা ১৮ আসন উপনির্বাচনে এ আসনের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে এগিয়ে আছেন এ্যাডঃ আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি এ্যাডঃ সাহারা খাতুনের আপন ভাতিজা হিসাবে আমার ফুপুর স্বপ্ন পুরণ এবং ফুপুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগনের পাশে থাকতে চাই। তৃৃৃণমূল নেতাকর্মীর সমর্থন রয়েছে আমার প্রতি, তাদের আশা আকাঙ্খাকে বাস্তবে রূপ দিতেই, তাদেরকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে দল যদি আমাকে সমর্থন করে তাহলেই আমি উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ‘
খিলক্ষেত, উত্তরার থানাগুলোর আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগি সংগঠনের অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী জানায়, এ আসনে এ্যাডঃ আনিছুর রহমান সংসদ সদস্য হলে এলাকার সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনের এলাকাগুলোর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং উত্তরার মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা যেমন রয়েছে, তেমনি উত্তরখান, দক্ষিণখান, ডুমনি, হরিরামপুরের মতো পিছিয়ে থাকা এলাকাও আছে। ফলে উন্নয়নের সমন্বয়ের স্বার্থে আসনটিতে এ্যাডঃ সাহারা খাতুুনের উত্তরসূরী হিসেবে, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আনিছুর রহমানের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটারসহ সর্বস্তরের জনগন।
