ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৭:২৫

ম্যাগনেট পিলার প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক, পিলার-চাকতি উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
ম্যাগনেট পিলার প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক, পিলার-চাকতি উদ্ধার


বরগুনার আমতলী থানার আড়পাঙ্গাশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ম্যাগনেট পিলার প্রতারণা চক্রের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিনকে (৫০) আটক করেছে র‌্যাব-৮। গত বুধবার রাতে এ অভিযানের সময় তার কাছ থেকে একটি পিলার, দু’টি চুম্বক চাকতি এবং চুম্বক পরীক্ষা করা সরঞ্জামাদি জব্দ করে র‌্যাব। 
আটক ফরিদ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত সামসু মোল্লার ছেলে। 
বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৮ প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফরিদ আমতলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ম্যাগনেট পিলার ও পিলারের মধ্যের চুম্বক চাকতি দিয়ে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। কতিথ এই পিলারে থাকা চুম্বক চাকতি অতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এবং এই পিলারে শুকনো ধানও আকৃষ্ট করে। যার একেকটি চুম্বকের মূল্য কোটি টাকা বলে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত আছে। তারা অবৈধ পিলার ব্যবসায়ীদের কৌশলে নিজ এলাকায় নিয়ে আসে এবং নমুনা হিসেবে চুম্বকের চাকতি দেখায়। চাকতির গায়ে খোদাই করে ‌‘EAST INDIA COMPANY-1818’ এবং মাঝে ‘DANGER’ লেখা আছে। চুম্বকটি আসল কিনা তা প্রমাণের জন্য টেষ্ট কিট হিসেবে শুকনো ধান একটি কাচের টিউবের মধ্যে সংরক্ষিত রাখে তারা। 
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফরিদ উদ্দিন জানায়, চাকতিগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করে এবং যে ধানগুলো দিয়ে টেষ্ট করে সেগুলোর ভেতরে আগে থেকেই সূক্ষভাবে লোহা জাতীয় পদার্থ ঢুকানো থাকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত অবৈধ ব্যবসায়ীরা এই চুম্বকর প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। 
এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের বিশেষ দল মো. ফরিদ উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিলার, দু’টি চুম্বক চাকতি এবং চুম্বক পরীক্ষা করা সরঞ্জামাদি জব্দ করে তারা। 
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই রাতেই তাকে আমতলী থানায় সোপর্দ করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‌্যাব-৮।

উপরে