ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৮:১৬

গরুর অভাবে ঘানি টানা ছাইফুলের পাশে এসপি ও বসুন্ধরা গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গরুর অভাবে ঘানি টানা ছাইফুলের পাশে এসপি ও বসুন্ধরা গ্রুপ


গরুর অভাবে নিজেই ঘানি টেনে তেল তৈরি করে সংসার চালানো ছাইফুলের পাশে দাঁড়ালেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা ও দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাইফুলের বাড়ি গিয়ে একটি গরু অনুদান হিসেবে দেন এসপি।

এর আগে বুধবার ছাইফুলের ঘর তৈরি ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সহধর্মিণী আফরোজা বেগম। আর ঘানি টানার জন্য একটি গরু কিনে দেয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
ছাইফুল ইসলাম (৪৮) কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, বাড়িতে ঘানি ভেঙে সরিষা তেল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা ছাইফুলের পৈত্রিক পেশা। আধুনিক যুগে ঘানি তেলের চাহিদা কমে গেলেও পৈত্রিক পেশা আঁকড়ে ধরে ২৫ বছর ধরে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। ঘানি টানতে গরুর প্রয়োজন হলেও ছাইফুলের গরু কেনার টাকা ছিল না। কোনো উপায় না পেয়ে তিন সন্তানের লেখাপাড়ার খরচসহ পাঁচজনের সংসার পরিচালনায় গরুর পরিবর্তে তিনি নিজেই তেলের ঘানি টানেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম।

গরুর অভাবে নিজেই তেলের ঘানি টানেন এমন একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমেও গুরুত্বসহকারে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপসহ প্রশাসনের অনেকের নজরে আসে ছাইফুলের কঠোর সংগ্রামী জীবনের করুণ চিত্র। এটি দেখে অনেকেই তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
বুধবার ছাইফুলের বাড়িতে এক লাখ টাকা পাঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী আফরোজা বেগম। একই সঙ্গে এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকেও তাকে একটি গরু কিনে দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ছাইফুলকে সহায়তা করতে একটি গরু নিয়ে তার বাড়িতে যান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা। 
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আতিকুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস কুমার, কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ও কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হক প্রমুখ। 

উপরে