লাগামহীনভাবে বেড়েছে পিয়াজের দাম, দুশ্চিন্তায় আমদানিকারকরা
অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে ঘাটতি এবং আভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পিয়াজ রফতানি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ভারত সরকার।
এদিকে রফতানি বন্ধ করায় ভারত থেকে আমদানির জন্য খোলা ১০ হাজার টনের এলসির পিয়াজ আসা নিয়ে ও এর বিপরীতে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পাইপলাইনে থাকা ২ শতাধিক ট্রাক পিয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
অপরদিকে, রফতানি বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দরে বাড়তে শুরু করে আমদানিকৃত পিয়াজের দাম। স্থলবন্দরে খুচরা ও পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি প্রকারভেদে বেড়েছে ৩০-৩৫টাকা। যে পিয়াজগুলো সোমবার সকালে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মঙ্গলবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
আবার একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের বাজারে সোমবার যে পিয়াজ ৪০টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার তা বেড়ে ৮০-১০০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। পিয়াজের দাম খুচরা মূল্যে বিভিন্ন এলাকায় আরও বাড়ছেই। এর প্রভাবে দেশি পিয়াজের দামও বেড়েছে দিগুন।
দাম বাড়ার কারণ চাইলে আমদানিকারকরা কথা বলতে রাজি না হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা আমদানিকারকদের নিকট থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এতে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই।
এব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানান, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে পিয়াজের সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নিজ দেশের বাজারে পিয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশে পিয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। আমরা দেশের বাজারে পিয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ১০ হাজার মে.টন পিয়াজের এলসি করেছি। এখনও ভারতের অভ্যন্তরে ২ শতাধিক পিয়াজ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
উল্লেখ্য, সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতরের ডিরেক্টর জেনারেল অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পিয়াজ রফতানির বন্ধের তথ্য জানানো হয়। রাতে ভারতীয় রফতানিকারকদের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশি পিয়াজ ব্যবসায়ীদের হাতে এসে পৌঁছায়। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
