কাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীকাল ১৪ অক্টোবর থেকে ২২দিন চাঁদপুরের পদ্মা- মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। যদিও এই ২২দিন চাঁদপুরের ৫১ হাজার ১শ’ ৯০জন জেলে কর্মহীন হয়ে পড়বে।
এসময় জেলেরা সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানান। মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ ইতোমধ্যে নানা কার্যক্রম শুরু করেছে। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচর পর্যন্ত ৬০কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বিশেষ তদারকি করবে জেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ।
জেলেদের দাবি, তারা অভিযানের সময় ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে নামবে না। তবে কেউ কেউ বলছেন, সরকারি সহায়তা না পেলে তো সংসার চালাতে গিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নদীতে নামতে হবে। সর্বোপরি ৫১ হাজার জেলের দাবি, অভিযানকালে তাদেরকে সরকারি ৪০ কেজি চালের সহযোগীতা আরো বৃদ্ধি করা হোক।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, জেলে ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভাসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তারপরেও জেলেদের সরকারি সহায়তা বাড়িয়ে দিলে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শতভাগ সফল হবে। মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল করতে পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, গত বছর মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় এবছর ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। আশা কারছি এবছরও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল করতে সক্ষম হবো। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব (উ.) ও মতলব (দ.) উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পুলিশ গতবছর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। আশা করি এবারও জেলে ও ব্যবসায়ীরা আমাদের একইভাবে সহায়তা করবে।
