ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:০৮

অগ্রণী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনে বসুন্ধরা এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অগ্রণী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শনে বসুন্ধরা এমডি


দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় তিনি অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যান এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস্-উল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যাংকিং ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রাজিব সামাদসহ বসুন্ধরা গ্রুপ ও অগ্রণী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বলেন, কর্পোরেট আবহে বঙ্গবন্ধু কর্নার অগ্রণী ব্যাংক এমডির চমৎকার আইডিয়া। আমরা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানি না। বঙ্গবন্ধু কর্নারের কল্যাণে আমরা তা জানতে পারব।
এর আগে প্রথমে অগ্রণী ব্যাংকের এমডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এসময় পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
এসময় অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বঙ্গবন্ধু কর্নারের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, সাত বছর আমি দেশের বাইরে ব্যাংকিং করেছি। ক্যারিয়ারের ১৬ বছর কাটিয়েছি চট্টগ্রামে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি আমি জিএম পদোন্নতি পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে আসি। সে সময় আমাকে ব্যাংকিটর আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান করা হয়। একই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। জিএম পদটি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একটি সম্মানজনক পদ হিসেবেই স্বীকৃত।
সিলেট যাওয়ার পর আমার মনে হলো, দেশ স্বাধীন না হলে আমি জিএম হতে পারতাম না। হয়তো হাবিব ব্যাংকের এসপিও পর্যন্ত যেতে পারতাম। যার জন্য দেশটি স্বাধীন হলো, আমি জিএম হতে পারলাম, সেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে কিছু করার ইচ্ছে হলো। আমি ভাবলাম জাতির পিতাকে কিভাবে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানানো যায়। আমি তো কবি না যে কবিতা লিখতে পারবো, আমি আর্টিস না যে ছবি আঁকব বা মুড়াল তৈরি করবো। ঐ রকম লেখক না যে উনাকে নিয়ে বই লিখবো। তাই আমি চিন্তা করলাম কর্পোরেট আবহের কোনো একটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর উপর কর্নার করতে, যেখানে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর উপর বই থাকবে। আমার সেই চিন্তা যখন বাস্তবে রুপ পেল তখন এটা নিয়ে যে এতো প্রচার হবে, এটা যে জাতীয় পর্যায়ে চলে যাবে তা আমি চিন্তাও করিনি। আবার অনেকে সমালোচনাও করেছে। বলেছে আপনি বঙ্গবন্ধুকে কর্নারে নিয়ে নিলেন। সরকার পরিবর্তন হলে আপনার চাকরি থাকবে না। এমন অনেক কথায় আমাকে শুনতে হয়েছিল।
আমি তো শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এটা করেছি। এটা আমি কোনো ধরনের প্রাপ্তির জন্য করিনি। পরবর্তীতে আমি যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ দিতে গেলাম তখন আমি পকেটে করে আনসার ডিডিপি ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধুর কর্নারের দুটি ছবি নিয়ে গেলাম। উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) যখন দিলাম তখন তিনি অনেক সময় দেখে বললেন গুড আইডিয়া। পরবর্তীতে ২ থেকে ৩ মাস পরেই পত্রিকায় দেখলাম সরকারি নির্দেশনা আসলো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর কর্নার করতে হবে। এটা পত্রিকায় দেখার পরেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েছি। এত দিন আমি যা করেছি জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসুরী উপলব্ধি করলেন যে এটি ভালো কাজ। কারণ এতোদিন খুব টেনশনের মধ্যে ছিলাম কাজটা কি ভালো হলো না, খারাপ হলো। পরে আমি একটি বই ডুকোমেন্টারি আকারে করেছি, এইচটি ইমাম সাহেবকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছিলাম। এখন তো শুধু দেশে না বিদেশের বিভিন্ন অ্যাম্বাসি ও হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার করা হচ্ছে।
সাক্ষাতকালে কর্পোরেট আবহে বঙ্গবন্ধু কর্নারের এই চমৎকার আইডিয়ার প্রসংসা করেন বসুন্ধরার এমডি। এটা দেশ-বিদেশে আরো ছড়িয়ে পড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এরপর বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

উপরে