ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:০৫

বরিশালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপ

অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপ

‘বরিশালের শিল্প দূষণ, পরিবেশ বিপর্যয় ও জনদুর্ভোগ নিরসনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমন্ত্রিত কোনো শিল্প মালিক এই সভায় অংশগ্রহণ করেননি। 

বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম। 

বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, বেলার সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সংগঠক রফিকুল আলম, এনজিও সংগঠক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু, আনোয়ার জাহিদ ও শুভংকর চক্রবর্তী সভায় বক্তব্য রাখেন। 

সভায় আলোচকরা বলেন, শহরের মধ্যে ওষুধ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও স্বর্ণ শিল্পের বর্জে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এসব বর্জ্য কোনো পরিশোধন ছাড়াই নদীর পানিতে গিয়ে মিশছে। 

সভায় বরিশালের পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা বলেন, গত ৩২ বছর ধরে তারা শহরের মধ্য থেকে ওষুধ শিল্প স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে শহরের মধ্য থেকে ওষুধ শিল্প, স্বর্ণ শিল্প ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প স্থানান্তর হচ্ছে না। 

তারা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোথাও কোনো শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরিবেশ অধিদপ্তর শহরের মধ্যে শিল্প স্থাপনের ছাড়পত্র দিয়ে জনগণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এছাড়া যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন ও কাঠ পোড়ানো বন্ধ এবং মেডিকেল বর্জ্য ও শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আলোচকরা গুরুত্বারোপ করেন। 

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশাসনকে সাথে নিয়ে শিল্প দূষণ ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধ এবং জনদুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।

তবে আমন্ত্রিত শিল্প মালিকরা সভায় অংশগ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের নেতারা। 

উপরে