ইউটিউবে শিশু রায়ানের আয় ১৭৬ কোটি
শিশুটির নাম রায়ান। বয়স সবে সাত। এই বয়সেই ‘রায়ান টয়’স রিভিউ’ একটি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক সে। সেই চ্যানেলে খেলনার ভিডিও দেখিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ইউটিউবার হতে চলেছে রায়ান। চলতি বছরে ইউটিউব থেকে ছোট্ট এই শিশুটির আয় ১৭৬ কোটি টাকা। বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ রায়ানের চ্যানেলটি টপকে যাবে বর্তমানের সেরা ইউটিউবার জ্যাক পলকে।
ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, ভিডিও শুরুর আগে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, তা থেকেই ২১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে রায়ান। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬৬ কোটি টাকারও বেশি। এই ভিডিওতে যেসব খেলনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়, সেসব খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।
চলতি বছরের আগস্ট থেকে আবার ‘রায়ান’স ওয়ার্ল্ড’ নামে খেলনা এবং পোশাকের বেশ কিছু আইটেম বিক্রি করতে শুরু করেছে খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া লভ্যাংশ সামনের বছর রায়ানের মোট আয়ের সঙ্গে যোগ হবে। শিশু হওয়ার কারণে তার মোট আয়ের ১৫ শতাংশ ব্যাংকে জমা করে রাখা হচ্ছে। যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখন এই টাকা তুলতে পারবে।
ইন্টারনেটে খুবই পরিচিত মুখগুলোর একজন হওয়া সত্ত্বেও রায়ানের পরিচয় নিয়ে রয়েছে ব্যাপক রহস্য। তার নামের শেষাংশ কী, রায়ান কোথায় থাকে, কেউ জানেন না। রায়ানের বাবা-মা মাত্র অল্প কয়েকবার গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে রায়ানের মা দাবি করেন, যখন তার ছেলের বয়স মাত্র তিন বছর, তখন এই ইউটিউব চ্যানেল খোলার আইডিয়া রায়ানই দিয়েছিল।তবে রায়ানের মা নিজেও তার নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
ইউটিউবে রায়ানের প্রথম ভিডিওটি ছিল প্লাস্টিকের ডিম ভেঙ্গে সেখান থেকে খেলনা বের করা। আশি কোটি বার এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে। তার ভিডিও চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে এক কোটি মানুষ। রায়ানের ভিডিওর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার স্বতস্ফূর্ততা। নিত্য নতুন খেলনা নিয়ে সে যেভাবে খেলে, সেটা লোকে পছন্দ করে। একটি রিভিউতে বলা হয়েছে, ‘রায়ান যখন তার খেলনার প্যাকেট খোলে, সেটি একটি নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করে।
