রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা।
রোববার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর সড়কের হোটেল রেডিসন ব্লুর সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ ভাঙচুর করে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের রেশারেশিতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার দিয়া খানম নিহত হন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থী নিহতের পর শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা হোটেল রেডিসন ব্লুর সামনে রাস্তা অবরোধ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থীরা ঘাতক বাস দুটিসহ জাবালে নূরের পাঁচটি বাস ভাঙচুর করে।
এ ছাড়া তানজিল, বিআরটিসি, ভুইয়া পরিবহন ও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বশেষ বিকাল সাড়ে ৩টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বশির জানান, আবদুল করিম এবং দিয়া খানম মিম নামের দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল রয়েছে। আরও দুই তিনজন মারা গেছে বলে শুনেছি। আহত ৫-৭ জনকে সিএমএসে নেয়া হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার দাস জাগো নিউজকে বলেন, সহপাঠী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ এবং ভাঙচুর করে। এ সময় মহাখালি থেকে উত্তরা রোড়ের দুইদিকে যানজট দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের পাশাপাশি উত্তরা ও গুলশান জোনের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আরও দুই-তিনজন মারা গেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।