জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে ঢুকতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। টানা পঞ্চম বছরের মতো এই সংখ্যা ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। খবর আল জাজিরার।
নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ১৫০৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ সমুদ্রে ডুবে মারা গেছে লিবিয়া থেকে ইতালি(এক হাজার ১১১ জন) যাওয়ার পথে। স্পেনে যাওয়ার পথে ৩০৪ জন এবং গ্রিসে যাওয়ার পথে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইওএম জানায়, জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে একই সময় ১২৪ এবং গত বছর ২২৪ জন সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।
চলতি বছর ইউরোপে ৫৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী ইউরোপে এসে পৌঁছেছে। যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। মাথাপিছু ভিত্তিতে ২০১৮ সাল এখন পর্যন্ত ভয়াবহ বছর। কারণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইউরোপ আসা কমেছে।
আইওএম জানায়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির পরিবর্তে স্পেনকে বেছে নিয়েছে ব্যাপকসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইতালির চেয়ে এবার স্পেনে তিন হাজার বেশি অভিবাসী পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগে এই ব্যবধান ছিল দুশো’র চেয়ে কম।’
স্পেন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তিন হাজার ১২৫ জন অভিবাসী আফ্রিকার মেলিলা এবং চেউটা রুট ব্যবহার করে অনিয়মিতভাবে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।
‘চলতি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালি ও গ্রিসের চেয়ে অভিবাসীদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য স্পেন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রিস ছিল ইউরোপে ঢুকার প্রধান রুট। এই চুক্তির কারণে প্রচুর অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমে এসেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচ হাজার অভিবাসী গ্রিসে পৌঁছেছে। এদিকে ইতালিতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী কমে এসেছে।
গত পাঁচ বছরে আফ্রিকা থেকে নৌকায় করে ছয় লাখ ৪০ হাজার অভিবাসী এসে ইউরোপ পৌঁছেছে।