রেলের স্পেশাল সেলুন কোচে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে খরচ হলো আড়াই লাখ টাকা। ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের কর্তারা যে কোচে চড়ে যাতায়াত করেন সেগুলো কিছুদিন আগে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তারপরই এ কোচে কলকাতা থেকে দিল্লি গেলো এক পরিবার।
‘ইন্ডয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড’ (আইআরসিটিসি) সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই পরিবারের সাতজন সদস্য হাওড়া থেকে সেলুন কারে চড়েছিলেন গত বুধবার।
সংস্থার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার (ইস্ট জোন) দেবাশিস চন্দ্র বলেন, কলকাতা তথা পূর্ব ভারত থেকে তারাই প্রথম ‘নন-রেলওয়ে’ ব্যক্তিবর্গ, যারা সেলুন কার ভাড়া নিয়ে ভ্রমণ করলেন। সেই দিক থেকে এই ঘটনার তাৎপর্য অনেকটাই। আমরা পুজোকে সামনে রেখে সেলুন কার সাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করতে চাইছি। তার জন্য নিরন্তর পরিকল্পনা চলছে। সেলুন কার নিয়ে ইতিমধ্যেই আগ্রহীরা খোঁজখবর শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আইআরসিটিসি সূত্রের খবর, সাধারণ আসন সংরক্ষণ কিংবা ফুল কোচ বুকিংয়ের তুলনায় সেলুন কার বুকিংয়ের নিয়ম আলাদা। যেমন, কেউ কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ সেলুন কারে যেতে চাইলে, তাকে যাওয়া এবং আসা-দু’য়েরই ভাড়া দিতে হবে। গত বুধবার ওই বাঙালি পরিবারটি সেলুন কারে কেবল কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন। কিন্তু ভাড়া দিতে হয়েছে ‘রাউন্ড ট্রিপ’-এর হিসেবে। সেলুন কারটিকে হাওড়ায় কালকা মেলের সঙ্গে জোড়া হয়েছিল বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সংস্থার এক কর্তার কথায়, সেলুন কার নিয়ে সাধারণের মধ্যে বেশ আগ্রহ রয়েছে। একটু ব্যয়বহুল সফর হলেও চাহিদা রয়েছে। সেলুন কারে সাধারণত থাকে দু’টি বেড রুম, কিচেন, ড্রয়িং রুম। সব মিলিয়ে থ্রি স্টার হোটেলের সমান আতিথেয়তা পাওয়া যাবে।
একটি সেলুন কারে একসঙ্গে ১০ জন সফর করতে পারবেন। যাত্রীরা চাইলে নিজেরাই রান্না করতে পারবেন। কেবল প্রমোদ ভ্রমণ ছাড়াও কর্পোরেট মিটিং কিংবা কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্যও কোনও সংস্থা সেলুন কার ভাড়ায় নিতে পারে।