খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমরা যাতে খাদ্যে ভেজাল মুক্ত থাকতে পারি, নিরাপদ খাদ্য ভোগ করতে পারি সে লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও জোরদার ও গতিশীল করতে হবে। 
আজ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আমরা অতীতে বিভিন্ন সেমিনারসহ অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই কাজগুলো  সেভাবে আর হচ্ছে না। কিন্তু অচিরেই নতুন করে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করা হবে। কেউ যেন ভেজাল খাদ্য তৈরি করতে না পারে, ভেজাল খাদ্য বিক্রি করতে না পারে সেদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের  চেয়ারম্যানকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। 
সাধন চন্দ্র বলেন, আইন, বিধি-বিধান যতই তৈরি করা হোক না কেন, যদি এগুলোর সঠিক প্রয়োগ না হয়, কার্যকারিতা না থাকে, তবে তা কোন সুফল বয়ে আনবে না। তিনি বলেন, এ জন্য আধুনিক ল্যাবরেটরি প্রয়োজন এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরি করতে পারলে যত বেশি খাদ্যদ্রব্য টেস্ট করা যাবে ততো  বেশি মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সচেতন হবে। এজন্য জেলায়  জেলায় ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি করতে হবে। 
সভার শুরুতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোরশেদ আহমেদ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ডের বিষয় উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য; কার্যাবলি; কর্তৃপক্ষের জনবল নিয়োগ; স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের দায়িত্ব প্রদান; বিধি-প্রবিধানমালা প্রণয়ন; মোবাইল কোর্ট পরিচালনা; নিরাপদ খাদ্য দিবস; অর্জিত নানা সাফল্য; ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।