দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৫৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত নিয়ে মোট ২ লাখ ৪৫২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এসময় আরও ৩৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৬১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৪৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন। দেশে নতুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.১৪ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৪.৫৯ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ৮০টি ল্যাব আছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩২টি ল্যাব চালু আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৬২৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি।
নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৭ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও নারী আট জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আট জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে দুই জন, বরিশাল ও রংপুরে বিভাগে এক জন করে দুই জন, খুলনা বিভাগে সাত জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন, বাসায় মারা গেছেন পাঁচ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬০৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৪২ হাজার ১৪৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৯১ জন।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।