নাটোরের লালপুরে বাবার কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য নিজেই অপহরণ নাটক সাজায় ছেলে। অপহরণের নাটকের ২দিন পর ড্রাইভারের সহায়তায় নিজের হাত-পা বেঁধে রাস্তায় পড়ে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বিধি বাম! পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে ছেলের সাজানো অপহরণের নাটকের সকল পরিকল্পনা।
ঘটনাটি ঘটেছে লালপুর উপজেলার আহম্মেদপুর মহাদেবপাড়া এলাকায়। হিমেল ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
হিমেলের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার আহম্মেদপুর মহাদেবপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে হিমেল। বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে ১৬ জুলাই ভোর বেলায় কুইজিপুকুর মোড়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সে। পরে বাড়িতে না ফিরে ১৭ জুলাই সন্ধ্যার পরে বাবা আইয়ুব আলীর মোবাইলে নিজের মোবাইল থেকে কণ্ঠ পরিবর্তন করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে ছেলে বাড়ি না ফেরায় বাবা আইয়ুব আলী থানায় অবহিত করলে হিমেলকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। হিমেল নাটোরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে ৫০০ টাকায় একটি ছেলেকে দিয়ে নিজের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মোবাইলে ছবি তুলে নেয়। এ ছবি বাড়িতে ও অত্মীয়দের দিয়ে আবারও দাদার ফোনে ফোন দিয়ে টাকা চাওয়া হয়।
এরপর ১৮ জুলাই ফোন দিয়ে বাবাকে বলে আপনার ছেলেকে নান্টুর রাতে আম বাগানে পাবেন। এ কথা বলে হিমেল নাটোর থেকে দাশুরিয়াগামী একটি পিকআপ ৭০০ টাকায় ভাড়া করে রাত ১১ টার দিকে চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছে। সেখানে পিকআপের ড্রাইভারকে ভয় দেখিয়ে নিজের হাত-পা বেঁধে নিয়ে রাস্তার পাশে অচেতন হয়ে পড়ে থাকার অভিনয় করে হিমেল। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতাল ও পরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর সোমবার লালপুর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সেলিম রেজা বলেন, হিমেলের কথামতো তার অভিমান ভাঙ্গতে বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য এই অপহরণ নাটক সাজায়।