নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগীদেকে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। র্যাব অভিযানের পর দিন সোমবার সকাল থেকে ওই হাসপাতাল থেকে রোগী সরিয়ে নিয়ে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করছেন স্বজনেরা।
রোববার অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, রোগী শূন্য হলে হাসপাতালটি সিলগালা করা হবে। এদিকে, করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমডি ফয়সাল আল ইসলামকে খুঁজছে র্যাব।
রোববার অভিযানের সময় হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, কর্মকর্তা সাহরিজ কবির সাদিকে আটক করা হয়। এ দুজনকেও এই মামলার আসামি করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, হাসপাতালের এমডি ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিনের ছেলে। এসময় এমডি ফয়সালকে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে থেকে জানা যায়, করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়াসহ পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই র্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও আবুল হাসনাত নন–কোভিড ও কোভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করেছেন। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। মামলায় আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিলো রোগীদের কাছে। এ ঘটনায় সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান । এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়।
এসবের সঙ্গে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল, সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও শাহরিজ কবির জড়িত।