ঝিনাইদহে করোনায় মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন যেমন এই রোগের ভয়াবহতা বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুর মিছিলে শরীক হচ্ছে ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ।
এদিকে বুধবার নতুন করে জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা বিপুল কুমার গাঙ্গুলী (৫৩) মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা কৃষি ব্যাংক শাখায় কর্মরত ছিলেন।
ভোর ৫টার দিকে বিপুল কুমার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের বাসুদেব গাঙ্গুলীর ছেলে। এ নিয়ে ঝিনাইদহে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বিপুল কুমার গাঙ্গুলীর কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে তিনি রক্ত পরীক্ষা করান। গত ১৯ জুলাই তার ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর তাকে ঝিনাইদহ কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাশ দাফনকারী কমিটিকে মৃত ব্যক্তির সৎকার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মৃতদেহ আসা মাত্রই সদর উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গঠিত কমিটি ও মহিষাকুন্ডু শ্মশান কমিটি বিপুল কুমারের মৃতদেহ দাহ করার জন্য তৈরী হয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে ঝিনাইদহ ইসলামী ফাউন্ডেশন মোট ২৯টি লাশের দাফন ও সৎকার করলো।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, বুধবার জেলায় ১৮ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮২ জনে।