রোববার বগুড়ার সোনাতলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই সাথে বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
রবিবার যমুনা নদীতে বিপদ সীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ও বাঙালী নদীতে ২৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ওই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ৭ হাজার ৫১৯ পরিবারের ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সাথে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে আরও প্রায় লক্ষাধিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সেই সাথে গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে যমুনা ও বাঙালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ওই উপজেলার সদর, মধুপুর, তেকানীচুকাইনগর, পাকুল্লা, বালুয়াহাট, জোড়গাছা ও পৌর এলাকার ৩৮টি গ্রামের ৭ হাজার ৫১৯ পরিবারের ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানিবন্দি মানুষগুলো একদিকে করোনাভাইরাস অপরদিকে বন্যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে যাচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও আশ্রয়ন কেন্দ্রে। সরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত থাকলেও নেই বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা। ফলে বিপুল সংখ্যক পরিবারের সদস্যরা অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
এ বিষয়ে তেকানীচুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক জানান, তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম এখন পানির নিচে। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত জানান, এক দিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে মানুষ। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বানভাসিদের জন্য যতটা সম্ভব ত্রাণ প্রদান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর আলম জানান, সরকার বন্যার্ত মানুষের পাশে সবসময় রয়েছে।