আয়-ব্যয়ের হিসাবে টানা চার বছরের ‘লোকসান’ কাটিয়ে গত বছর উদ্বৃত্ত থাকা বিএনপির ‘মুনাফা’ আরও বেড়েছে। ২০১৭ সালে ব্যয়ের তুলনায় দলটির আয় বেশি হয়েছে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা।
২০১৭ সালের ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে চার কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়ে এই তথ্য জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৭ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলেছে ইসি। বিএনপি শেষ দিনে এই হিসাব দিল।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে থেকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর দলগুলো এই হিসাব জমা দিয়ে আসছে।
আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালে বিএনপির ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি ছিল ১৪ লাখ চার হাজার ৮৭৮ টাকা। ওই বছর তাদের আয় হয়েছিল চার কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০টাকা। আর ব্যয় ছিল তিন কোটি ৯৯লাখ ৬৩ হাজার ৮৫২ টাকা।
অর্থাৎ ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে বিএনপির আয় বেশি হয়েছে পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭০ টাকা।
এর আগে টানা চার বছর আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি ছিল বিএনপির।
২০১৫ সালে বিএনপির ঘাটতি ছিল ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা। এই বছর বিএনপির আয় হয় এক কোটি ৭৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৫ টাকা। আর দলটি খরচ দেখায় এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।
২০১৪ সালে ঘাটতি ছিল ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৬ টাকা। ওই বছর দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় ছিল তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার ৫০৯ টাকা।
এর আগে ২০১৩ সালে বিএনপির ঘাটতি ছিল ৪৭ লাখ ৮০ হাজার ৯১২ টাকা। আর আগের বছর ২০১২ সালেও এই ঘাটতি ছিল প্রায় এক কোটি টাকা।
২০১৭ সালের হিসাব ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে জমা দিয়ে খোকন জানান, গত বছরের উদ্বৃত্ত পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।
আয়ের খাত হিসেবে বিএনপি দলীয় সদস্যদের চাঁদা, সদস্য ফরম, দলের বিভিন্ন প্রকাশনা বিক্রি ও অনুদানকে দেখিয়ে থাকে। অন্যদিকে দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, ইফতার পার্টিসহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় দেখানো হয়।
এই হিসাব জমা দেয়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।