logo
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:২৬
‘ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় জড়িত সাবেক মালি রবিউল’
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় জড়িত সাবেক মালি রবিউল’


ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।

এদিকে শনিবার আটক নৈশ প্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ ও যুবলীগ সদস্য (বহিস্কৃত) আসাদুল হককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করা রবিউল ইসলামকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। 
ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিউল ইসলাম (৪৩) নামে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এক সরকারি কর্মচারীকে আটক করি। আটক রবিউল ইসলাম প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি। হাতুরিসহ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করবো। রিমান্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে। 
ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, মামলার বিষয়টি তদন্ত চলমান রয়েছে। এরপরেও কোন কিছু পেলে জানাবো। শুক্রবার রবিউলকে আটক করা হয়। সে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের ধামাহর এলাকার মৃত খতিব উদ্দীনের ছেলে। সে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মালি পদে নিযুক্ত ছিল। বর্তমানে সে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। 
এ সময় দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এর পর শনিবার বিকালে এই মামলায় আটক মালি রবিউল ইসলাম, নৈশ্য প্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ ও পূর্বে আটক এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী আসাদুল হককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 
আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন জানান, শনিবার বিকালে ইউএনওর উপর হামলার মামলায় রবিউল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে শুনানী শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
তিনি আরও জানান, এই মামলায় আসাদুল হক সাত দিন ধরে রিমান্ডে ছিল। শনিবার ডিবি পুলিশ রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করে। ইউএনওর বাসভবনের নৈশপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশসহ তাদের দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 
জানা যায়, সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে ঘোড়াঘাট ইউএনও কার্যালয়ের মালি পদে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় ৫০ হাজার টাকা চুরির দায়ে প্রায় ৬ মাস আগে রবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আটক রবিউল ইসলাম পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়। শুক্রবার রবিউলকে আটক করা হয়। সে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের ধামাহর এলাকার মৃত খতিব উদ্দীনের ছেলে।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com