কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি সুমন রেজা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলা দায়েরের ১৩ দিন পার হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই ছাত্রীর দিন-মজুর বাবা পুলিশসহ প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো ফল পাননি। তবে পুলিশ বলছে, ‘সুমন রেজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
অভিযোগ, দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই এলাকার সুমন রেজা। তিনি ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সুমন রেজা ফোন করে ওই ছাত্রীকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। প্রেমিকের কথায় মেয়েটি বাড়ির পেছনে গেলে সুমন রেজা তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
মেয়েটি প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখলেও ২৯ সেপ্টেম্বর তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুমন রেজার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। তবে মামলার পর ১৩ দিন চলে গেলেও পুলিশ আসামি সুমন রেজাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন, সুমন এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরছে না। আমি একজন দরিদ্র মানুষ, অন্যের ক্ষেতে দিনমজুরের কাজ করি। এ কারণে পুলিশ আমার কথা আমলে নিচ্ছে না। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের হয়ে কাজ করছে দৌলতপুর থানা পুলিশ এমন অভিযোগও করেন তিনি।
তবে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল আলমের দাবি. মামলা হওয়ার পর থেকে সুমন এলাকা ছাড়া। তাকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে এখনো গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। খুব শিগগিরই সে ধরা পড়বে বলে আশ্বাস দেন ওসি।