ডেনমার্কে পাবলিক প্লেসে মুসলিম নারীদের নেকাব নিষিদ্ধ করার পর বুধবার থেকে তা কার্যকর করা হয়। এরপরই এর প্রতিবাদের বিক্ষোভ করে নারীরা।
আইন অনুযায়ী, কোনো নারী মুখমণ্ডল ঢেকে রাখলে তাকে ১,০০০ ক্রোনার (১৫৬ ডলার) জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া, কেউ বারবার এ আইন লঙ্ঘন করলে তার জন্য ১০,০০০ ক্রোনার (১,৫৬০ ডলার) জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। খবর পার্সটুডের।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ নিষেধাজ্ঞাকে নারী অধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে আইনটির সমর্থকরা দাবি করছেন, এর ফলে ডেনমার্কের সমাজে মুসলিম অভিবাসী নারীদের মিশে যেতে সুবিধা হবে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রতিবাদে বুধবারই রাজধানী কোপেনহেগেনে শত শত মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নিকাব পরিহিত অনেক নারী ছিলেন। এ সম্পর্কে ডেনমার্কের বেলিংস্কে পত্রিকা একজন মুসলিম নারীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তিনি দেশটির আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন।
৩০ বছর বয়সি ওই নারী তুর্কি বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ডেনমার্কে জন্মগ্রহণ করে ওই দেশেই বড় হয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি ডেনমার্কের মুসলমানরা অন্য নাগরিকদের সমান অধিকার ভোগ করতে পারছে না। এটি এদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়।'
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপীয় দেশগুলোতে নিকাব নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ডেনমার্কের আগে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।