x
মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা করেছে র্যাব। আজ রবিবার সকালে র্যাব বাদী হয়ে এই মামলা করে।
রাজধানীর বাড্ডার এই ব্যবসায়ীকে ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত’ করায় আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '২১ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে জনৈক মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এতে দেশের সাধারণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। বাজুসের তথ্য মতে মনির স্বর্ণ ব্যবসায়ী নয়।'
এতে বলা হয়, 'বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি তথা বাজুসের কোনো সদস্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। অধিকন্তু আমরা এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ নিধনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয় তবে এ ধরনের সকল প্রকার অবৈধ কাজ শক্ত হাতে নিধনে আমরা সরকারের পাশে থাকব।'
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে মনিরুল ইসলামকে ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ী’ হিসেবে আখ্যায়িত না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি, বিদেশী মদ এবং প্রায় দশটি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৯ লাখ টাকা। তার বাসা থেকে ৮ কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধ পথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন ‘গোল্ডেন মনির’। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে তার স্বর্ণ চোরাকারবারের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত। এসবই তিনি করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। যেখানে তার নাম হয়ে যায় ‘গোল্ডেন মনির’।