বাংলাদেশে এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। আর তার পরপরই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই সব শিক্ষার্থীদের পাস করানোর জন্য এই অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন।
এইচএসসি ফলাফল কিভাবে
আগেই জানানো হয়েছিল, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।
গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন যে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমানের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সমন্বয়কৃত মূল্যায়ন করে একটি গ্রেড নির্ধারণ করা হবে।

এক্ষেত্রে আট সদস্য বিশিষ্ট যে পরামর্শক কমিটি করা হয়েছে তাদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হবে কোন বিষয়টি কোন বিষয়ের সঙ্গে প্রতিস্থাপন করে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে।
তবে সনদে প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফলাফলে কোন শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হলে রিভিউ চেয়ে নিজ নিজ বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়ায় ফরম পূরণ বাবদ আদায়কৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেয়া হবে।
ফল প্রকাশের পরই প্রত্যেক বোর্ড ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবার কথা ছিল।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে?
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কিছুটা পিছিয়ে জুন মাসে, এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুলাই-অগাস্ট মাসে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
এছাড়া মহামারির কারণে যেহেতু শিক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করতে পারেনি, সেজন্য সিলেবাস কাটছাঁট করে 'পুনর্বিন্যাস' করার কাজ চলছে।
তবে এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে এবং ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার কথা ভাবছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত নিয়ে ক্লাস করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।"