logo
আপডেট : ৫ আগস্ট, ২০১৮ ১২:২২
রহস্যময় সোনার ভান্ডার!
অনলাইন ডেস্ক

রহস্যময় সোনার ভান্ডার!

প্রাচীন কাল থেকেই দেশে দেশে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে যার পরিচিতি রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিহারের রাজগীরে একটি পাহাড়ের গায়ে দুটি গুহা আবিষ্কার করা হয়েছে। সেই গুহার দেয়ালে দরজাও রয়েছে। দরজার পাশে লেখা কিছু কথা থেকে রহস্যময় সোনার ভান্ডারের তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ের গুহার দেয়ালে দরজার পাশে এক অজানা ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। এই লেখা পড়তে পারলেই নাকি সন্ধান পাওয়া যাবে সোনার ভান্ডারের। কারণ সেখানে ‘সোন ভান্ডার’ নামে দুটি রহস্যময় গুহা রয়েছে। তবে গুহা দুটিই কৃত্রিম বলে জানা যায়।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানান, সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে এই গুহা খনন করা হয়। বৈভর পর্বতের পাদদেশের এ দুটি গুহা নির্মাণ করেছিলেন ভৈরদেব নামে এক জৈন সন্ন্যাসী। কিন্তু দেশে ব্রিটিশ রাজত্ব চলাকালে কানিংহ্যাম নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে জানিয়েছিলেন যে, গুহা দুটি আসলে বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত।

সোন ভান্ডারের দ্বিতীয় গুহার একটি দেয়ালে খোদাই করা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি। যা মূলত জৈন তীর্থঙ্করদের। তবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ‘সপ্তপর্ণী’ গুহা রয়েছে সোন ভান্ডারের মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। কথিত আছে যে, ইংরেজ আমলে বৃটিশরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও এখানে কোনো সোনার সন্ধান পায়নি।

তবে অনেকে মনে করেন, এগুলো আসলে সোনা না-ও হতে পারে। মূলত গুহা দুটির পাথর একেক জায়গায় এতো বেশি মসৃণ ও চকচকে যে, সেগুলোকে সোনা বলে ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com