logo
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৫৫
১০ রানে শেষ ৫ উইকেট খুইয়ে লজ্জার হার বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ রানে শেষ ৫ উইকেট খুইয়ে লজ্জার হার বাংলাদেশের

বাংলাদেশ যেন নিত্যনতুন বিস্ময়ের জন্ম দিয়েই চলেছে। ১৯১ রানও তাড়া করতে পারবে না, সেটা কে ভেবেছিল? মেহেদী হাসান মিরাজের দল এবার সেটাই করে দেখিয়েছে। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট খুইয়ে অলআউট হয়েছে ১০৯ রানে। ম্যাচটা হেরেছে ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ১৯১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৪ ওভারেই ১০০ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। একসময় ৫ উইকেটে ৯৯ রান থেকে মুহূর্তের মধ্যে পরপর তিন ব্যাটার আউট হয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ফাইন লেগে বশির আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান। এরপর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত চেষ্টা করলেও বড় জুটি গড়তে পারেননি। ২৫ রানে নাজমুল রানআউট হন, আর ৪০ রানে সাইফ আউট হন ওমরজাইয়ের বলে থার্ড ম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান মিরাজও বেশি দূর যেতে পারেননি। এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন ওমরজাইয়ের বলেই। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৫০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর জাকের আলী ও তাওহিদ হৃদয় কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। দুজন মিলে ২৯ রানের জুটি গড়েন। তবে সেটি ভেঙে যায় ৭৯ রানে। রশিদ খান বোল্ড করে ফেরান হৃদয়কে। ৩৪ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

তবে অর্ধেক ইনিংস হাওয়া হলে গেলেও জয়টাকে অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। ১৯০ রানেরই তো ব্যাপার! ৯৯ রান ইতোমধ্যে হয়েই গিয়েছিল, প্রয়োজন ছিল আর ৯১ রান। 

ঠিক তখনই ঘটল ঘটনাটা। দলীয় ৯৯ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। পরের বলেই এলবিডব্লু তানজিম হাসান সাকিব। পরের ওভারে নানগেয়ালিয়া খারোতির বলে শর্ট কাভারে রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকের আলী। তখন স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ৯৯/৮। এরপর তানভির ইসলাম ফিরেছেন দলের তিন অঙ্ক ছোঁয়ার ঠিক পরই।

রিশাদ লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে। তবে সেটাও আলোর মুখ দেখেনি আর। ১০৯ রানে অলআউট হয়ে সিরিজটাও খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।  

এর আগে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৪৪.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তোলে। ইনিংসের নায়ক ছিলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। তিনি ১৪০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। সেঞ্চুরির মাত্র ৫ রান দূরে থেকে মিরাজের বলে রিশাদের চমৎকার ক্যাচে আউট হন তিনি।

আফগানিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করে সমান অবস্থানে ছিলেন মোহাম্মদ নবী ও মোহাম্মদ গজনফর।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন, আর ১ উইকেট নেন তানভীর ইসলাম।

সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের বিকল্প ছিল না। তবে ম্যাচটা হেরে সে সম্ভাবনাটাও পানিতে ভাসিয়ে দিল ক্রিকেটাররা।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com