বাংলাদেশে প্রথম ২০০১ সালে রহিমআফরোজ সুপার স্টোরস লি. ‘আগোরা’ নামে রিটেইল চেইনশপ চালু করে। এরপর আসে ‘মীনাবাজার’। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। এসিআই গ্রুপ ‘স্বপ্ন’ সুপারশপের মাধ্যমে বড় বিনিয়োগ নিয়ে রিটেইল ব্যবসায় আসে। বর্তমানে রাজধানীতে স্বপ্ন, আগোরা ছাড়াও প্রিন্স বাজার, ক্যারি ফ্যামিলি, শপ অ্যান্ড সেফ, আলমাস, ফ্যামিলি কেয়ার, ল্যাভেন্ডার, পিক অ্যান্ড পে, ফ্যামিলি নিডস, চেকার্স ডিজিটাল, আমানা সুপারশপ, ওশেনিয়া, আরবি, জি-মার্ট, সপ্তর্ষী, ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড, ফ্যামিলি টাচ, মেহেদী মার্টসহ প্রায় ২০০টি সুপারশপ রয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায়ও অনেক প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে।
মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ার বাসিন্দা গোলাম হোসেন বলেন, ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে সকালের দিকে কাঁচাবাজার করতে পারতাম না। এখন সুপারশপ হওয়ায় যে কোনো সময়ে প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি সবই কিনতে পারি। আমার মতো মানুষের জন্য সুপারশপ বাজার করার সবচেয়ে উত্তম জায়গা।
তবে বেশকিছু সুপারশপে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। পণ্যের গায়ে তারিখ খেয়াল না করলেই প্রতারিত হচ্ছেন তারা। হাতেগোনা কিছু সুপারশপের অসততায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। গত বুধবার মিরপুর, বনানীসহ বেশকিছু এলাকার কয়েকটি সুপারশপে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতি সপ্তাহেই ধরা পড়ছে এ ধরনের প্রতারণা। তাজা বলে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে বাসি মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া পণ্যের দাম নিয়েও রয়েছে লুকোচুরি। মূল দামের চেয়ে প্রায় প্রতিটি পণ্যেই রাখা হচ্ছে বেশি দাম। সরেজমিন বিভিন্ন সুপারশপে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক ছাদের নিচে সব পণ্য পাওয়া যায় তাই উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও সুপারশপে বাজার করতে আসছেন। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, সুপারশপে পণ্যের দাম বেশি নেওয়া হয়, টাটকা, কীটনাশকমুক্ত শাক-সবজির কথা বলে অনেক সুপারশপেই সাধারণ মানের শাক-সবজি বিক্রি করা হয়। তারচেয়ে মহল্লায় ভ্যানে করে যে শাক-সবজি বিক্রি করা হয় সেগুলো অনেক সতেজ ও পরিচ্ছন্ন।