কেনিয়ার একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে ছবি তোলার সময় জলহস্তীর কামড়ে আক্রান্ত হয়ে একজন চীনা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
৬৬ বছর বয়সী চ্যাং মিং চুয়াং লেক নাইভাশার তীরে আক্রমণের শিকার হন। একই স্থানে কয়েক ঘণ্টা পর একজন জেলেকে হত্যা করে একটি জলহস্তী।
শনিবার রাতে উ পেং তে নামে ৬২ বয়সী অপর এক চীনা পর্যটক জলহস্তীর আক্রমণের শিকার হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চলতি বছর তৃণভোজী স্তন্যপায়ীদের হামলায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।
পরিবেশবিদরা বলছেন, মানুষ ও জলহস্তীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পশুদের চারণভূমিতে অনধিকারপ্রবেশ।
কেনিয়ার বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখপাত্র পল উদোতো জানান, পর্যটকের ওপর প্রাণীদের হামলার ঘটনা বিরল। কারণ তাদের সঙ্গে সবসময় পর্যটক গাইড থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুয়াং ছবি তুলতে জলহস্তীর কাছে চলে গিয়েছিলেন। তখন তার বুকে কামড় বসায় জলহস্তীটি।
কেনিয়ার বন্যপ্রাণী বিভাগ জলহস্তীটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
পুলিশ জানায়, পর্যটকদের হামলাস্থল থেকে কয়েক মাইল দূরে ওই জেলের বুকেও কামড় বসায় জলহস্তীটি।
রিফট উপত্যকার অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান জিদেওন কিবুঞ্জা জানান, তার(জেলে) ক্ষত মারাত্মক ছিল। লেক থেকে উদ্ধার কয়েক মিনিট পর তিনি মারা যান।
জানুয়ারি মাসে লেক নাইভাশাতে মাছ ধরতে গেলে এক জলহস্তীর আক্রমণে মারা যান এক জেলে।
জলহস্তী, জিরাপ এবং জেব্রা দেখার জন্য রিফট উপত্যকার এই লেকটি পর্যটকদের কাছে খুব জনপ্রিয়।