কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেছেন নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সরকারের কাছে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সহপাঠীদের নির্মম মৃত্যুতে সড়কে জীবনের নিরাপত্তা বিধানের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় এবং পর্যায়ক্রমে গোটা দেশে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছিলো। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃংখলভাবে সংগঠিত ও পরিচালিত এই আন্দোলন নির্বিশেষে গোটা দেশবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও সংহতি লাভ করেছিলো।
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ষমতাসীন মহল বরাবরের মত এবারও কোমলমতি শিশুদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা না করে এবং আন্দোলনকারীদের আস্থায় এনে বাস্তবসম্মত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।’
সাবেক ছাত্রনেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ বাহিনী এবং পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকার দলীয় সশস্ত্র লোকদের লেলিয়ে দিয়ে এক ভীতিকর তান্ডবের পরিস্থিতি তৈরী করেছে।’
অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। পুলিশি ছত্রছায়ায় গণমাধ্যমক কর্মীদের উপরও নির্দয় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। নির্বিচারে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে দমন-পীড়নের নীতি থেকে সরে এসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পন্থায় নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্র, শিক্ষক সকলকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
নব্বইয়ের ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লুৎফর রহমান স্বাক্ষর করেন।