logo
আপডেট : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৭:০৬
নিকাহ হালালায় রাজি না হওয়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ
প্রথম বাংলাদেশ ডেস্ক

নিকাহ হালালায় রাজি না হওয়ায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ

নিকাহ হালালার ‘অজুহাতে’ পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদের।

রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর বিয়ে হয় ওই নারীর। কিন্তু ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর শ্বশুর বাড়ির লোকজন অত্যাচার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়।

আনন্দবাজার জানায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। এরপর গত ডিসেম্বরে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়। আবার শ্বশুর বাড়ি ফিরে আসেন ওই নারী।

নিকাহ হালালা প্রথা অনুযায়ী, তালাকপ্রাপ্ত কোনও নারী তার প্রাক্তন স্বামীকে আবার বিয়ে করতে চাইলে প্রথমে তাকে অন্য কাউকে বিয়ে ও সহবাস করে ফের তালাক নিতে হয়।

গৃহবধূর অভিযোগ, এই প্রথার সুযোগ নিয়ে শ্বশুরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় একটি বন্ধ ঘরে তাকে ধর্ষণ করে শ্বশুর। এই ঘটনায় স্বামী-শ্বশুর এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।

গৃহবধূর দাবি, সেই শুরু তার দুঃস্বপ্নের। অভিযোগ, এরপরই তার স্বামী, শ্বশুর, তার ভাই এবং দুই মৌলভি দাবি করতে শুরু করেন, শ্বশুর বাড়িতে থাকতে হলে নিকাহ হালালা করতে হবে। তাদের দাবি ছিল, এক সময় শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ওই নারী। সেই ঘটনা তালাক হিসেবেই গণ্য হবে। সে জন্য তাদের ‘বিধান’ ছিল, পুরনো স্বামীর সঙ্গে থাকতে হলে নিকাহ হালালা আবশ্যক।

ওই নারীর অভিযোগ, এরপরই তিনি শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। কিন্তু, দুই মৌলভি-স্বামীর কাকা সকলে জোর দিতে থাকেন ফের বিয়ের জন্য। তারা চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু সেটা না মানায় এক দিন সকালে একটি বন্ধ ঘরে তাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। পরে তাকে তালাক দেন তিনি।

গৃহবধূর অভিযোগ, পরে স্বামী তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন। এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সেই থেকে ফের শ্বশুর বাড়ি ছাড়া তিনি। তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

তার অভিযোগ, এরপরই পুরো বিষয়টি তিনি জেলা শাসকের কাছে জানান। আবেদন করেন পুলিশের কাছেও। এটা কানে আসার পরই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। গত শনিবার অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। যদিও এরপর থেকে পলাতক সকলে।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com