শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদের নেতৃত্বে শুক্রবার রাত থেকে উদ্যানের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। ৩/৪টি গর্ত খুড়ে একটি গর্ত থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো বক্সে ১০টি রকেট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হয়তো এগুলো এখানে এনে জড়ো করেছিল। কিন্তু তারা তা ব্যবহারের সুযোগ পায়নি।
মুফতি মাহমুদ জানান, এসব রকেট ৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত ট্যাংক ধ্বংস করতে পারে। তবে এর গায়ে কোন দেশের তৈরি বা কখন তৈরি করা হয়েছে তা লেখা নেই। এগুলো এখনো সচল রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাধারণ সন্ত্রাসীরা এগুলো ব্যবহার করার জন্য এখানে নিয়ে আসেনি। আমাদের দেশের জঙ্গিরা এসব অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা রাখেও না। ২০১৪ সালে ৫ দফা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবারও গোয়েন্দা তথ্য ছিল এখানে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে। আমরা বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট দিয়ে সন্দেহজনক সবগুলো স্থানে সার্চ করে একটি বাংকার থেকে প্লাস্টিকের কন্টেইনারে মোড়ানো ট্যাংক বিধ্বংসী ১০টি রকেট গোলা উদ্ধার করি।