logo
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:৪৫
বিমানকর্মীর ভুলে মরতে বসেছিল ১৬৬ যাত্রী
প্রথম বাংলাদেশ ডেস্ক

বিমানকর্মীর ভুলে মরতে বসেছিল ১৬৬ যাত্রী

বিমানকর্মীর ভুলের কারণে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছিলেন ভারতের জেট এয়ারওয়েজের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীরা। ১৬৬ জন যাত্রী থাকা বিমানটি ওড়ার পরই যাত্রীদের নাক ও কান দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। কারো কারো প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা শুরু হয়। এমন অবস্থায় মুম্বাই বিমানবন্দরে বিমানটিকে জরুরী অবতরণ করানো হয়।

জানা গেছে, বিমানটি ওড়ার আগে বিমানে থাকা বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণের সুইচ দিতে ভুলে যান বিমানকর্মী। একারণে বিমান ওড়ার পরই সেখানে বায়ুর চাপ শুরু হয়। এরফলেই ভয়ানক সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। আর কিছুক্ষণ এ অবস্থায় থাকলে যাত্রীদের মৃত্যু হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। এরইমধ্যে ওই বিমান কর্মীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। খবর আনন্দবাজারের।

বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজের নাইনডব্লিউ-৬৯৭ ফ্লাইট মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে জয়পুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড কোলাহল। কানে ও নাকে প্রচণ্ড চাপ পড়তে শুরু করে। নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু অনেকের। যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া হয়। তখনই পাইলটরা বুঝতে পারেন, বিমানের ভিতরে এয়ার প্রেশার বা বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণের সুইচটিই অন করা হয়নি।

সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে যোগাযোগ করে মুম্বাই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। যাত্রীদের নামিয়ে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ৩০ জনের নাক বা কান দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। অনেকেই মাথাব্যথায় ছটফট করছিলেন।

ওই বিমানের এক যাত্রী ওই সময়ের একটি ভিডি‌ও তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, সব যাত্রীই অক্সিজেন মাস্ক পরে রয়েছেন। সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

ডিজিসিএ জানিয়েছে, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, দায়িত্বে থাকা কেবিন ক্রু ওই সুইচটি অন করতেই ভুলে গিয়েছেন। ফলে বিমানের ভিতরের বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তাতেই রক্তপাত ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়েছে যাত্রীদের।

জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। সংস্থার এক মুখপাত্র বোয়িং ৭৩৭ গোত্রের বিমানটি নিরাপদেই অবতরণ করে। কয়েক জন যাত্রীর কানে ব্যথা, নাকে রক্তপাত হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। যাত্রীদের জন্য বিকল্প উড়ানের বন্দোবস্তও করেছে সংস্থা।

বিমান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে উচ্চতায় বিমান চলাচল করে, তাতে কেবিনের ভিতরে বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা ভয়ঙ্কর জরুরি অবস্থার শামিল। ভিতরের বায়ুর চাপ কমে গেলে ফুসফুসের টিসুতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। তার জেরে সারা শরীরে রক্তপ্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। শ্বাসকষ্ট, নাক ও কান দিয়ে রক্তপাতের মতো সমস্যা হতে পারে। আর বেশিক্ষণ চললে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com