logo
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:২৫
ইসরায়েলি অনুরোধ অগ্রাহ্য করে সিরিয়ায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র
প্রথম বাংলাদেশ ডেস্ক

ইসরায়েলি অনুরোধ অগ্রাহ্য করে সিরিয়ায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র

সম্প্রতি একটি রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সিরিয়ায় বিমান বিধ্বংসী অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে রাশিয়া। সিরিয়াকে এই ক্ষেপণাস্ত্র না দিতে বরাবরই অনুরোধ করে আসছে ইসরায়েল। তবে রুশ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইসরায়েলি অনুরোধ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে সিরিয়াকে এস থ্রি হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে রাশিয়া।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়াকে এস থ্রি হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে। খবর বিবিসির।

তিনি জানান, সিরিয়ার কাছেই ভূমধ্যসাগরের কিছু অংশে স্যাটেলাইট ও রেডার যোগাযোগ ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়ার জন্যে জ্যামিং সিস্টেম বসানো হবে যাতে সিরিয়ার ভেতরে বিমান হামলা চালানো যেতে না পারে।

সিরিয়াকে অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলের বরাবরই আপত্তি ছিল। কারণ রুশ এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ সীমায় তাদের বিমান ধরাশায়ী করতে সক্ষম।

২০১৩ সালে ইসরায়েলের অনুরোধে সিরিয়ার কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ স্থগিত করেছিল রাশিয়া। কিন্তু পাঁচ বছর আগে ইসরায়েলকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রাশিয়া এখন অগ্রাহ্য করছে।

বিমান বা যেকোনো উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে এই ক্ষেপণাস্ত্র আড়াইশো কিলোমিটার দূর থেকে একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

১৭ সেপ্টেম্বর সিরিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরের ওপর রাশিয়ার একটি সামরিক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ১৫ জন রুশ সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে রাশিয়া।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে গেছে। এই উদ্যোগ নিতে রাশিয়া বাধ্য হয়েছে’।

মস্কো বলছে, ইসরায়েল তাদের বিমানটিকে এমন এক লাইন অফ ফায়ার বা গোলাগুলির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল যে কারণে বিমানটি ভূপাতিত হয়। এঘটনায় সিরিয়াও ইসরায়েলকে দায়ী করছে।

ইসরায়েল অবশ্য শুরু থেকেই তাদের এই দাবি অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর এলোপাথাড়ি গুলিতে রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই।

ইসরায়েলের কথা উল্লেখ না করে ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের কথা বিবেচনা করে সিরিয়াকে অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেওয়া হচ্ছে না। সিরিয়ার ভেতরে যেসব রুশ সৈন্য যুদ্ধ করছে তাদের জীবন রক্ষাই এর লক্ষ্য।

রাশিয়া কি সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে?

গত সপ্তাহে রুশ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ব্যাপারে রাশিয়া বলছে, লাটাকিয়ায় সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করার সময় সিরিয়ার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা পেতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে রুশ বিমানকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিল।

লাটাকিয়ায় যে সিরিয় সামরিক স্থাপনাকে ইসরায়েল টার্গেট করেছিল, সেটি রুশ একটি বিমান ঘাঁটির কাছে। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন, গত সপ্তাহে লাটাকিয়া টার্গেট করে ইসরায়েল কার্যত রুশ ‘রেড লাইন’ ভঙ্গ করেছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া এখন বার্তা দিতে চাইছে যে সিরিয়ায় মাঝেমধ্যেই ইসরায়েল যে হামলা করছে তা নিয়ে আর তারা চোখ বন্ধ করে থাকবে না।

মার্কাস বলেন, রাশিয়া যদি সেই নীতি নেয়, তাহলে আগামীতে সিরিয়ার ব্যাপারে ইসরায়েলকে খুব সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com