আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি নিজেও নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে নেতা-কর্মীরা যেন মাঠে নেমে আসে। একটি দলের প্রধান যিনি কিনা বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রী ছিলেন তিনি যখন এই ধরণের নির্দেশ দেন এর পরেও প্রতিহত করার চেষ্টায় যখন ব্যর্থ হয়, তখন তাদের মধ্যে হয় তো একটা বোধ এসেছে; বিএনপি বুঝতে পেরেছে সরকার পতনের আন্দোলন করে আর লাভ নেই। সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে আসতে হবে। কারণ সরকার পতনের যে শর্ত থাকে, সে ধরণের কোন শর্ত নেই এবং জনগণ তাদের সাথে নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সুপরিকল্পিতভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যাপক প্রাণহানি ঘটিয়েছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির সাথে যুক্ত ঐক্যফ্রন্ট বারবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করছেন। বিএনপির যে মুখপাত্র আছেন তারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গিয়ে যে ধরনের ভাষায় কথা বলছেন, সেগুলো যদি আমরা আমলে নিয়ে বিশ্লেষণ করি, তাহলে বোঝা যাবে এর একটি সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য আছে।’
বর্তমান সরকারে অবদানের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘জনগণের নূন্যতম যে চাহিদা খাদ্য-বস্ত্র, বাসস্থান, নিরাপদ সমাজ এবং অর্থনীতি এই বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা জনগণকে আস্থায় আনতে পেরেছেন। এটি সারা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। হয়তো এই উপলব্ধিটি আসবার পরে এবং পরবর্তীতে তারা দেখলেন তাদের শীর্ষ নেতারা দন্ডিত হচ্ছেন, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এমন অবস্থায় তারা একটি পরিকল্পনা নিলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যে সমস্ত ব্যক্তিরা ১/১১ কালীন সময়ে ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে নিয়ে একটি মোর্চা করলেন। সেই মোর্চাটি নিয়ে তারা এগিয়েন। কারণ তারা নৈতিক দেউলিয়ায় ভুগছিলেন।’