টেরিজা মে'র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের বাণিজ্য চুক্তিকে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোন ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে এমন কথা বলেছেন তা অবশ্য পরিষ্কার করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে একটি বিষয় পরিস্কার যে, যুক্তরাজ্যের স্বাধীন বাণিজ্য নীতি রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমাদের এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে যে, ব্রিটেনকে বাণিজ্যের জন্য গ্রহণ করা হবে কিনা। কারণ যদি এই চুক্তির বিষয়ে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন তারা হয়তো আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে সক্ষম হবেন না। আর এটা কখনই ভালো কিছু হবে না। ট্রাম্প হয়তো বোঝাতে চাচ্ছেন যে, ব্রেক্সিট চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাধীনভাবে বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ব্রিটেনের কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে। তারা হয়তো আগের মতো বাণিজ্য চুক্তিতে সক্ষম নাও হতে পারে।
ট্রাম্পের এমন আশঙ্কার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট প্রত্যাহার চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষাকিক চুক্তি করতে পারবে ব্রিটেন। আমরা ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বজায় রাখতে যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে একটি উচ্চাভিলাষী চুক্তি করার ভিত্তি স্থাপন করেছি। আমরা ইতিমধ্যে পাঁচবার সাক্ষাৎ করেছি।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে বেশ টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এরই মধ্যে টেরিজা মের শর্ত মানতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। রবিবার খসড়া চুক্তি অনুমোদন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এটি পাস হলে ইউরোপ ছাড়তে ব্রিটেনের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তা না হলে আবারো নতুন সমষ্যার মুখে পড়বেন টেরিজা মে।