logo
আপডেট : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৩০
ভোটের ‘নেশা’ মারফতের
প্রথম বাংলাদেশ ডেস্ক

ভোটের ‘নেশা’ মারফতের

তিনটিস্থানীয় নির্বাচন এবং আটটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। কখনো জয় পাননি। কিন্তু জনতার মন জয়ের আশা ছাড়েননি। এবারও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রার্থী হয়েছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে।

তার নাম মারফত আলী। ৭২ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রার্থী হয়েছেন মুসলিম লীগ থেকে। এর আগে নানা সময় অন্যান্য দল থেকে লড়েছেন।

মারফতের ভোটের লড়াই শুরু ১৯৮০ সাল থেকে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই দাঁড়িয়েছেন কোনো  না কোনো দলের হয়ে।

মারফতের রাজনীতি শুরু ৬০-এর দশকেই। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন।
মারফত প্রথম ভোটে দাঁড়ান জাসদ থেকে। ১৯৮০ সালে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খেজুরগাছ প্রতীকে দাঁড়িয়ে ২৬ ভোটে হেরে যান।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ দলীয় জোটের মাছ মার্কা প্রতীকের হয়ে অংশ নেন এরপর। ভোট পান ৩১ হাজার ৪৪৮টি।

১৯৮৮ এবং ১৯৯১ সালে শাজাহান সিরাজের নেতৃত্বাধীন জাসদের হয়ে ভোটে দাঁড়ান মারফত। ১৯৯৬ সালে জনতা পার্টি থেকে হরিণ মার্কায় এবং ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো দলের না হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

২০১০ সালে মিরপুর পৌর নির্বাচনে তালাচাবি প্রতীকে এবং একই বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি মার্কায় ভোটে অংশ নেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাসদ রব গ্রুপের তারা মার্কা প্রতীকে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু অর্থের অভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
কর্মজীবনে মারফত আলী দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন।

মারফত আলী বনে, ‘আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য মিরপুরের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। এই আসনে বেশি ভোট মিরপুর উপজেলার। তবে এই এলাকার মানুষ ভেড়ামারার চেয়ে অবহেলিত। নেতৃত্বের অভাবে এটি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সামাজিক একটা পরিবর্তন চাই, মিরপুরের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। অন্য কোনো কারণ নেই। আমি মূলত এমপি হতে চাই না। চাই ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে। এ জন্য যতদিন বাঁচব, নির্বাচনে অংশ নিয়ে যাব।’
প্রতিটি নির্বাচনে হারার বিষয়ে জানতে চাইলে মারফত বলেন, ‘অর্থ ও রাজনৈতিক কারণেই মূলত প্রতিবার আমি পরাজিত হই। তবে আমি নির্বাচনে না জিতলেও তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা শিক্ষা দিতে চাই। যাতে তারা আগামীতে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

বর্তমানে বেঙ্গল ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের সঙ্গে স¤পৃক্ত মারফত আলী। তবে দলটি নিবন্ধন না পাওয়ায় মুসলিম লীগের হয়ে হারিকেন প্রতীক পেতে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

 

প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com