বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীদের আংশিক তালিকা গণমাধ্যমে ঘোষণা দেওয়া কথা ছিল কিন্তু রাত সাড়ে ৮টায় দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে না। কেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা স্থগিত হলো, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এ প্রেক্ষাপটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বিএনপি তাদের দুই মিত্র— ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কাউকে নাখোশ করতে চায় না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিএনপিকে অনুরোধ করা হয়, আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করে একসঙ্গে যেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া এখনও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আসন সমঝোতা হয়নি। কয়েকটি আসনের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আপিল শুনানিও বাকি আছে। এসব কারণে বিএনপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ রাত ৮টার পর আংশিক তালিকা ঘোষণা করা হবে।’
তবে রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপির চেয়ারারসনের মিড়িয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বরাত দিয়ে বলেন, ‘আজকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে না। আগামীকাল শুক্রবার যেকোনও সময় ঘোষণা করা হতে পারে।’
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, ২২০টি আসনে বিএনপির একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। বাকি ৮০টির মধ্যে থেকে ৭০টি আসনে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছাড় দেবে বিএনপি। বাকি ১০টি আসন বিএনপি হাতে রেখেছে। সেখানে যেকোনও দলের প্রার্থীই নির্বাচন করতে পারেন। তবে শরিকদের সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে বিএনপির।