logo
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৪১
নবজাতককে তুলে নেয়ার ঘটনায় ইতালি-মাল্টার বাকযুদ্ধ
প্রথম বাংলাদেশ ডেস্ক

নবজাতককে তুলে নেয়ার ঘটনায় ইতালি-মাল্টার বাকযুদ্ধ

মাল্টার একটি বিমান অভিবাসীদের একটি জাহাজ থেকে নবজাতক শিশু এবং তার মাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তুলে নিয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকটি দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।

স্পেনের ওই অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজে আরো তিনশো লোক ছিল। মাল্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এই তিনশো জনের খাবার দেয়নি তারা। তবে মাল্টা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। প্রোএকটিভিয়া চ্যারিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, শিশুটি তিন দিন আগে লিবিয়ার একটা সমুদ্র সৈকতে জন্ম নেয় এবং তার জীবন এখন শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। প্রোএকটিভিয়ার নৌকা মাল্টা, ইতালিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে ফ্রান্স, তিউনিশিয়া এবং লিবিয়ার কাছে সাহায্য চেয়ে কোন লাভ হয়নি।

মাল্টার একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানে করে উদ্ধারের ঘটনাটি করা হয়েছে মাল্টার নিয়ম নীতির বাইরে গিয়ে। শুক্রবার লিবিয়ার কাছে সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

এর আগে এই দাতব্য সংস্থাটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছিল ৩১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুরা রয়েছে। সমুদ্রে তাদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁনো হয়েছে। তারা এটাও জানায় মাল্টা তাদেরকে খাবার সরবরাহ করা থেকে বিরত থেকেছে। সাথে যোগ করেছে ‘এটা বড়দিন হতে পারে না’।

এদিকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ইতালির বন্দরগুলো বন্ধ এবং অভিবাসীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে না। তিনি একটি খাবারের ছবি পোষ্ট করেন এবং লেখেন তিনি ভালোভাবে খেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে এর উত্তরে প্রোএকটিভিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা অস্কার ক্যাম্প বলেছেন পরবর্তী প্রজন্ম তাকে নিয়ে লজ্জিত হবে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে এই বছরের শুরু থেকে ইতালি এবং মাল্টা যাওয়ার পথে ১৩শর বেশি মানুষ মারা গেছে। জাতিসংঘ বলছে, যারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা অকল্পনীয় ভীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়ছে। বেশিরভাগ নারী এবং কিশোরী মেয়েরা বলছে তারা চোরাচালানকারী বা মানবপাচারকারীদের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com