ধানের শীষে ভোট চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট জিতলেই কেবল বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে।
ফখরুল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর যদি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে পারেন তাহলে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে পারব। তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। আমাদের হাজার হাজার ভাইদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা আছে তা তুলে নিতে পারব।’
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে বন্দি। আর ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়া তারেক রহমান এখনো দেশে ফিরছেন না। দুর্নীতির দুই মামলায় তারও ১৭ বছরের কারাদ- এবং ২২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি পেয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদ-। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আবার ক্ষমতায় ফিরলে তারা তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করবেন।
ফখরুল আরো কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। এগুলো হলো ারের দাম কমিয়ে আনা, কৃষককে ধানের ‘ন্যায্যমূল্য’ দেয়া, দলের যেসব কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা করেছে তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা, যতদিন সেটা না হবে ততদিন বেকার ভাতা দেওয়া।
ভোট দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার অনুরোধ করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করবে। তাই ভোট দিয়ে ভোট গণনা করে ফলাফল নিয়ে ফিরতে হবে।’

প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার অনুরোধ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা কোনো ব্যক্তি বা দলের কর্মকর্তা কর্মচারী নন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী। এই দেশের জনগণ আপনাদের জন্য ট্যাক্স দেয়। আপনাদের লয়ারিটি, সহানুভূতি যা থাকবে দেশের জনগণের প্রতি থাকবে। কারো অন্যায় আদেশ মেনে নেওয়া অপরাধ। কেউ যদি অন্যায় আদেশ করে, তা আপনি মানতে বাধ্য নন।...যেটা ন্যায় সেটা করবেন। অন্যায় পথে যাবেন না। জনগণ এই কথা মনে রাখবে।’
বিএনপি ক্ষমতায় ফিরলে ঘুষ বন্ধ, বেকারদের চাকরি দেওয়া আর যতদিন চাকরি হবে না, ততদিন বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণাও দেন ফখরুল।
ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না বলেও মনে করেন ফখরুল। এ জন্য দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের পদ্ধতিকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ভোট হলে মারামারি হতো না, কোন ঝামেলা হতো না। ভোটের সময় কেউ গ্রেপ্তার হতো না।’