তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করা হবে। চারটি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম পদ্ধতিকে আওয়ামী লীগসহ অন্য মেয়র প্রার্থীরা স্বাগত জানালেও বিএনপির প্রার্থী বলছেন তারা এই পদ্ধতি চান না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি করা হতে পারে বলছেন বিএনপির প্রার্থীরা। তবে ইভিএমকে স্বাগত জানিয়েছে সুশীল সমাজও।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১২, ২০, ২১, এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের শেষ নেই।
বরিশালের রিটার্নি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেছেন, , ইভিএমের মাধ্যমে ভোটারকে সহজে চিহ্নিত করে ভোট দেওয়া যায়। ইভিএমে ভোট গণনার কাজও অনেক দ্রুত করা সম্ভব। ডিজিটাল হওয়ায় কারচুপিরও সম্ভবনা নেই।
আধুনিক পদ্ধতিতে ভোট জালিয়াতি করতেই ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধন্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি মেয়র প্রার্থীর।
বরিশাল বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, , ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে সরকারের উচিত ছিল ভোটারদের আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া। নয় তো কোনো লাভ হবে না। আমি ইভিএম চাই না, তারপরও সরকার চাপিয়ে দিচ্ছে। জানি না কোন ধরণের কারচুপি করার কারণেই এটি ব্যবহার করছে কিনা।
অন্য দিকে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ অন্যরা।
বরিশাল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া সম্ভব না। তাই জালিয়াতি করারও কোন সুযোগ নেই। এই পদ্ধতিটি বিজ্ঞান সম্মত তাই ভোট গুণতেও সমস্যা হবে না।
বরিশাল জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, এটি ডিজিটাল পদ্ধতি, এটি খারাপ হতে পারে না। তবে জনগন এখনো ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন জানে না, তাই তাদের মধ্যে কিছুটা সংশয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দ দুলাল বলেছেন, ইভিএম পদ্ধতিটি আধুনিক, তাই আগামী দিনগুলোতে এই পদ্ধতির ব্যবহার আরো ব্যাপক প্রসার এবং চূড়ান্তভাবে এইভাবেই নির্বাচন হওয়া উচিৎ।
বিএনপি ইভিএমের বিরোধিতা করে আসলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি করে কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।