বিএনপির বড় বড় নেতারা রাজনীতির মাঠের কাক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেছেন, আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা, তারা রাজনীতির মাঠের কাক। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্যই তারা বিএনপি করেছিলেন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিশু অধিকারবিষয়ক সেমিনার শেষে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক ও রাজনীতির কাকদের সমন্বয়ে তিনি বিএনপি গঠন করেছিলেন। আপনারা জানেন- খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দিলে যেমন অনেক কাক চলে আসে খাওয়ার জন্য, জিয়াউর রহমানও ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা, তারা রাজনীতির মাঠের কাক। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্যই তারা বিএনপি করেছিলেন। তাদের প্রত্যেকের অতীত কিন্তু ভিন্ন দল। মির্জা ফখরুল ইসলামের দল ভিন্ন। চট্টগ্রামের যারা নেতা তাদের দল ভিন্ন। আমি নাম বলতে চাই না। কেউ ব্যবসা করতেন, আবার কেউ অন্য দল করতেন। মওদুদ আহমেদের দল ভিন্ন। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দল ভিন্ন। বিভিন্ন দল থেকে রাজনীতির কাকদের নিয়ে যে দল গঠিত হয়েছে সেটির নাম বিএনপি। তাই তারা নানা কথা বলছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ধস নামানো পরাজয় হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের যে আস্থাহীনতা, তারা যে প্রচণ্ডভাবে জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছে সে ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছে এবং সেখানে যে ‘ভোটার টার্ন আউট’ হয়েছে- আমি মনে করি এটা অত্যন্ত ভালো ও সন্তোষজনক।
তিনি বলেন, ৩২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। কোনো জায়গায় কোনো হাঙ্গামা হয়নি, গণ্ডগোল হয়নি। মাত্র এক বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। উপনির্বাচনে ভোটার ‘টার্ন আউট’ কম হয়। এক্ষেত্রে মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচিত হয়েছেন এক বছরের জন্য। সে কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিন দিনের ছুটি পেয়েছে মানুষ। সে কারণে অনেকে বাড়ি চলে গেছে। সকালে যখন ভোটাররা ভোট দিয়ে যায় তখন ঢাকা শহরে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছিল। সব মিলিয়ে ভোটার উপস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অনেক জায়গায় খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। অনেক প্রার্থী আছে। কয়েক ধাপে হচ্ছে। সেখানে প্রচুর ভোটারের উপস্থিতি হবে।