ফরিদপুরের নগরকান্দায় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গাড়ি বহরের হামলার প্রতিবাদে ও আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মিয়াকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে নগরকান্দা এবং সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব ফকির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সদস্য কাজী শাহ জামান বাবুল, সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তালুকদার, ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালাম কাজী, ফুলসূতি ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, তালমা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী জামাল হোসেন মিয়া ও তার ভাই জেলা পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন মিয়া গোটা নগরকান্দা-সালথা উপজেলা জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জামাল-কামাল বাহিনী নগরকান্দা-সালথায় একের পর এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। জামাল-কামাল বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ বাহিনী খুন, চাঁদাবাজি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। তারা সংসদ উপনেতাকে হত্যার জন্য তার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার মূল আসামি জামাল ও তার ভাই কামাল এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। সংসদ উপনেতার গাড়ি বহরে যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বক্তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামাল-কামাল ও তার দোসরদের গ্রেফতার করা না হলে ফরিদপুর-২ আসনের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তারা তাদের বক্তৃতায় নগরকান্দা-সালথায় জামাল হোসেন মিয়া ও তার ভাই কামাল হোসেন মিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষজনের ‘জামালের ফাঁসি চাই, কামালের ফাঁসি চাই’ এমন স্লোগানে-স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
গত ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর তালমার মোড় এলাকায় জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী পুলিশ। দু’টি মামলার আসামি জামাল মিয়া ও তার ভাই কামাল মিয়া। দু’টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে আদালতে।